রাস্তা সারানোর দাবীতে আমরণ ভুখা অনশন গ্ৰামবাসীদের

20th June 2020 7:15 pm হুগলী
রাস্তা সারানোর দাবীতে আমরণ ভুখা অনশন গ্ৰামবাসীদের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( আরামবাগ ) :  হুগলীর আরামবাগ পৌরসভার চাঁদুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়া রাস্তার দীর্ঘ তিন বছর ধরে বেহাল দশা অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীদের।  বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা মেলেনি। খালপাড়া শীতলাতলা থেকে সামেদ খাঁ  বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা খানা খন্দে ভরা রাস্তা ।  একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা হয়ে যায় বাড়তে থাকে বিপদ। বহুবার ঘটেছে দুর্ঘটনা। এমনিতেই কাঁচা রাস্তা তার উপর বৃষ্টি হলে মনে হয় কেউ যেন পিচের বদলে মাটি গুলিয়ে ফেলে গেছে  রাস্তায়। ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট।  গ্রামের কোন মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ছেন গ্রামবাসীরা। বহু প্রতিশ্রুতি মিলেছে কিন্তু রাস্তা হয়নি।  "সালেয়ার বিবি "স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন রাস্তার জন্য আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি।  কোন  পৌরসভার বা পঞ্চায়েতের এরকম রাস্তা আর একটা আছে বলে আমার মনে হয় না।  তিন বছর ধরে সবার কাছে যাওয়া হয়েছে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। অন্য এক গ্রামবাসী জানান তিন বছর ধরে  এই রাস্তার অবস্থা বিপদজনক ভাবে পড়ে রয়েছে।  নিচুতলার নেতা থেকে উপর তলা নেতা পর্যন্ত জানিয়ে কোন কাজ হয়নি।  এমনকি আরামবাগ পৌরসভার  চেয়ারম্যানকে  আমরা  বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। অভিযোগ  নিজেদের সাইকেল, বাইক অন্য পাড়ায় রেখে আসতে হচ্ছে  রাস্তার কারণে।  তিন বছর ধরে বলে আসছে রাস্তা হয়ে যাবে।  আমাদের দাবি যত দিন রাস্তার কাজ চালু  হচ্ছে এবং সরকারি ভাবে কোন কিছু জানতে পারছি, ততদিন পর্যন্ত  আমরা আমরণ ভুখা অনশন চালিয়ে যাবো।  মরতে হয় মরবো।  শনিবার সকাল থেকে গ্রামবাসীরা অনশনে বসেছি। এই বিষয়ে আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান "স্বপন নন্দী " বলেন বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার কাজ চালু করা হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।